Posts

Showing posts from February, 2017

যে তিন শ্রেণীর ব্যক্তিকে আঘাত করলে আল্লাহর আরশ কেঁপে ওঠে

ইসলাম সকল শ্রেণীর মানুষের অধিকারের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে। সমাজের যারা প্রতিবন্ধীদের অবহেলা ও অবজ্ঞার চোখে দেখে, তাদের মনে রাখা দরকার, (আল্লাহ না করুন) বিভিন্ন দুর্ঘটনা ও অসুস্থতার কারণে একজন সুস্থ-সবল মানুষও যে কোনো সময় শারীরিক সক্ষমতা হারিয়ে প্রতিবন্ধী হয়ে যেতে পারে। তাই প্রত্যেক সুস্থ মানুষের উচিত, শারীরিক সুস্থতার জন্য আল্লাহর কৃতজ্ঞতার পাশাপাশি প্রতিবন্ধীদের প্রতি সহমর্মিতার হাত বাড়ানো। কারণ তাদেরও অধিকার রয়েছে স্বাভাবিক জীবনযাপনের। ইসলাম প্রতিবন্ধীদের প্রতি সচেতন হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘তাদের (বিত্তশালী) ধনসম্পদে অভাবগ্রস্ত ও বঞ্চিতদের অধিকার রয়েছে।’ –সূরা জারিয়াত : ১৯ প্রতিবন্ধী, পাগল, অবলা বা নারীদের শরীরে আঘাত করলে আল্লাহর আরশ কেঁপে ওঠে। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) সমাজের সব শ্রেণীর মানুষকে সমান চোখে দেখতেন। মৃদু বাকপ্রতিবন্ধী সাহাবি হজরত বেলালকে (রা.) মসজিদে প্রথম মোয়াজ্জিন নিয়োগ দিয়েছিলেন। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সাহাবি হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুমকে (রা.) নবী করিম (সা.) দু’দু’বার মদিনার অস্থায়ী শাসনকর্তা নিযুক্ত

সৃষ্টজীবের প্রতি দয়া

ইবনু ওমর (রাঃ) সূত্রে নবী (ছাঃ) হ’তে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক নারী একটি বিড়ালের কারণে জাহান্নামে গিয়েছিল, সে তাকে বেঁধে রেখেছিল। সে তাকে খাবারও দেয়নি, ছেড়েও দেয়নি, যাতে সে যমীনের পোকা-মাকড় খেতে পারত  (বুখারী হা/৩৩১৮ ‘সৃষ্টির সূচনা’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-১১, মুসলিম, মিশকাত হা/১৯০৩) । আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) হ’তে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘এক ব্যভিচারিণীকে ক্ষমা করে দেয়া হয়। সে একটি কুকুরের কাছ দিয়ে যাচ্ছিল। তখন সে দেখতে পেল কুকুরটি একটি কূপের পাশে বসে হাঁপাচ্ছে। রাবী বলেন, পিপাসায় তার প্রাণ প্রায় ওষ্ঠাগত ছিল। তখন সেই নারী তার মোজা খুলে তার উড়নার সঙ্গে বাঁধল। অতঃপর সে কূপ হ’তে পানি তুলল (এবং কুকুরটিকে পানি পান করাল)। এ কারণে তাকে ক্ষমা করে দেয়া হল’  (বুখারী হা/৩৩২১ ‘সৃষ্টির সূচনা’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-১৭, মুসলিম, মিশকাত হা/১৯০২)। শিক্ষা :  পশু-পাখির প্রতি সর্বদা সহানুভূতিশীল হ’তে হবে।

কুরআনের সংরক্ষণ ও একজন ইহুদী পন্ডিতের ইসলাম গ্রহণ

আববাসীয় খলীফা মামূনুর রশীদের দরবারে মাঝে মাঝে শিক্ষা সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হ’ত। এতে তৎকালীন বিভিন্ন বিষয়ে বিদগ্ধ পন্ডিতগণ অংশগ্রহণ করতেন। একদিন এমনি এক আলোচনা সভায় সুন্দর চেহারাধারী, সুগন্ধযুক্ত উত্তম পোষাক পরিহিত জনৈক ইহুদী পন্ডিত আগমন করলেন এবং অত্যন্ত প্রাঞ্জল, অলংকারপূর্ণ এবং জ্ঞানগর্ভ আলোচনা রাখলেন। বিস্মিত খলী ফা সভা শেষে তাকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন, আপনি কি ইহুদী? সে স্বীকার করল। মামূন তাকে বললেন, আপনি যদি মুসলমান হয়ে যান তবে আপনার সাথে উত্তম ব্যবহার করা হবে। তিনি উত্তরে বললেন, পৈত্রিক ধর্ম বিসর্জন দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। এই বলে তিনি প্রস্থান করলেন। কিন্তু এক বছর পর তিনি মুসলমান হয়ে আবার দরবারে আগমন করলেন এবং আলোচনা সভায় ইসলামী ফিক্বহ সম্পর্কে সারগর্ভ ও যুক্তিপূর্ণ বক্তব্য উপস্থাপন করলেন। সভাশেষে মামূন তাকে ডেকে বললেন, আপনি কি ঐ ব্যক্তি নন, যিনি গত বছর এসেছিলেন? তিনি বললেন, হ্যঁা আমিই ঐ ব্যক্তি। মামূন জিজ্ঞেস করলেন, তখন তো আপনি ইসলাম গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছিলেন। এরপর এখন মুসলমান হওয়ার কি এমন কারণ ঘটল? তিনি বললেন, এখান থেকে ফিরে যাওয়ার পর আমি বর্তমান

আমরা মুসলিম এবং এটাই আমাদের পরিচয়

আমরা মুসলিম [WE ARE MUSLIM] [There Are No Divison in Islam] [Read Quran for Details] ১.[সুরা বাকারাহ : আয়াত 128] পরওয়ারদেগার! আমাদের উভয়কে তোমার আজ্ঞাবহ(মুসলিম)করো এবং আমাদের বংশধর থেকেও একটি অনুগত(মুসলিম) দল সৃষ্টি কর,আমাদের হজ্বের রীতিনীতি বলে দাও এবং আমাদের ক্ষমা কর।নিশ্চয় তুমি তওবা কবুলকারী । দয়ালু । ২.[সুরা বাকারাহ : আয়াত132] এরই ওছিয়ত করেছে ইব্রাহীম তার সন্তানদের এবং ইয়াকুব ও যে,হে আমার সন্তানগণ, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের জন্য এ ধর্মকে মনোনীত করেছেন।কাজেই তোমরা [মুসলিম] না হয়ে কখনও মৃত্যুবরণ করো না। ৩.[সুরা বাকারাহ : আয়াত:136] তোমরা বল,আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহর উপর এবং যা অবতীর্ণ হয়েছে আমাদের প্রতি এবং যা অবতীর্ণ হয়েছে ইব্রাহীম,ইসমাঈল,ইসহাক,ইয়াকুব এবং তদীয় বংশধরের প্রতি এবং মূসা,ঈসা,অন্যান্য নবীকে পালনকর্তার পক্ষ থেকে যা দান করা হয়েছে,তত্‍সমুদয়ের উপর। আমরা তাদের মধ্যে পার্থক্য করি না । আমরা তাঁরই আনুগত্যকারী(মুসলিম) । ৪.[সুরা আলে ইমরান : আয়াত 52] অতঃপর ঈসা(আঃ)যখন বণী ইসরায়ীলের কুফরী সম্পর্কে উপলব্ধি করতে পারলেন,তখন বললেন,কারা আছে আল্লাহর পথে আমাকে সাহ

এক জেলে আর একটা ছোট মাছ

Image
এক ছিল জেলে। যে সব মাছ তার জালে ধরা পড়ত সেগুলো বেচেই জীবন চলত তার। একদিন সারা দিন চেষ্টা করে জালে উঠল একটামাত্র মাছ, তাও ছোট একটা। মাছটা খাবি খেতে খেতে প্রাণ বাঁচানোর জেলের কাছে মিনতি করল, “জনাব, আমাকে দিয়ে আপনার কোন কাজ হবে, কি দাম পাবেন আপনি আমায় বেচে! আমি তো এখনো পুরো বড় হই নি। দোহাই আপনার, প্রাণ বাঁচান আমার, আজকে আমাকে সাগরে ফিরিয়ে দিন। খুব তাড়াতাড়ি-ই আম ি অনেক বড় হয়ে যাব। বড়লোকদের পাতে দেওয়ার মত হয়ে যাব আমি। তখন আপনি আমায় আবার ধরে ভাল রকম লাভ তুলে নিতে পারবেন।” জেলে উত্তর দিল, “কবে কি পাব তার জন্য যদি আমি এখন যা পেয়েছি তা ছেড়ে দিই, মানতেই হবে আমি একটা আস্ত বুদ্ধু।” দূর ভবিষ্যতের প্রচুর পাওয়ার কোন প্রতিশ্রুতির থেকে এখনকার একটা নিশ্চিত পাওনা, যত ছোটই হোক সেটা, বেশী দামী।

একজন মহিলা ও তার জুতার গল্প

Image
মহিলাটি নিঃশব্দে ট্রেনে উঠে পড়ল; যদি তার চোখে চোখ না পড়ে যেত, আমি বুঝতেও পারতাম না যে তার চোখ ছলছল করছিল। যেকোনো মুহূর্তে সেই অশ্রু যেন ঝরে পড়বে। আমি তার পায়ের দিকে তাকালাম, দেখলাম খালি পা, এক জোড়া জুতা তার হাতে। কোলে কম্বলে মোড়ানো একটি ছোট শিশু; শিশুটি কোন শব্দ করছেনা। মহিলাটি যাত্রীদের কাছে এসে নিচুস্বরে কি যেন বলছিল, কিন্তু তার কথা ফেরিওয়ালার কণ্ঠ ঢেকে দিচ্ছিল। মহিলাটি ট্রেনের এক পাশে আমার কাছাকাছি আসলো। তার পুরনো ব্যবহৃত ক্ষয়ে যাওয়া জুতা জোড়ার দিকে লজ্জিতভাবে তাকিয়ে আস্তে বলল, ‘কারও কি এটা লাগবে? কেউ কি আমার কাছ থেকে জুতা তা কিনবেন?’ সবাই বিব্রতভাবে না করে দিল, কেউ বুঝে পেল না কেনই বা কেউ ব্যাবহার করা, পুরনো, ক্ষয় হয়ে যাওয়া জুতা কিনবে। অন্য একজন মহিলা ব্যাগ থেকে কিছু টাকা বের করে তাকে দান করতে চাইল। কিন্তু মহিলাটি এমন কিছু গ্রহন করতে অস্বীকার করল; তার ঘুমন্ত শিশুর হাতের মধ্যে দেওয়ার পরও সে তা ফিরিয়ে দিল। সে তখন জুবুথুবু হয়ে পরাজিতের মত ট্রেনের দরজার কাছে গিয়ে দাঁড়ালো। মহিলাটি তার মুখ এমনভাবে নীচু করে রাখল যেন অন্য যাত্রীরা তার চোখ থেকে গড়িয়ে পরা অশ্রু দেখ

'দুই ভাইয়ের শিক্ষামূলক একটি অসাধারণ গল্প' ।

উমর রাদিআল্লাহু তাআলা আনহুর শাসন আমল,  একদিন ২জন লোক এক বালককে টেনে ধরে নিয়ে আসল তাঁর দরবারে ।... উমর রাদিআল্লাহু তাআলা আনহুঃ তাদের কাছে জানতে চাইলেন যে,'ব্যাপার কি, কেন তোমরা একে এভাবে টেনে এনেছ ?' তারা বললঃ 'এই বালক আমাদের পিতাকে হত্যা করেছে ।' উমর রাঃ বালকটিকে বললেন 'তুমি কি সত্যিই তাদের পিতাকে হত্যা করেছ ?' বালকটি বলল' হ্যা আমি হত্যা করেছি তবে তা ছিল দূর্ঘটনাবশত, আমার উট তাদের বাগানে ঢুকে পড়েছিল তা দেখে তাদের পিতা একটি পাথর ছুড়ে মারল,যা উটের চোখে লাগে । আমি দেখতে পাই যে উটটি খুবই কষ্ট পাচ্ছিল । যা দেখে আমি রাগান্বিত হই এবং একটিপাথর নিয়ে তার দিকে মারি, পাথরটি তার মাথায়লাগে এবং সে মারা যায় ।' উমর (রাঃ) ২ভাইকে বলেলন 'তোমরা কি এ বালককে ক্ষমা করবে ?'  তারা বলল 'না, আমরা তার মৃত্যূদন্ড চাই ।' উমর রাঃ বালকটির কাছে জানতে চাইলেন 'তোমার কি কোন শেষ ইচ্ছা আছে?' বালকটি বলল 'আমার আব্বা মারা যাওয়ার সময় আমার ছোট ভাইয়ের জন্য কিছু সম্পদ রেখে যান,যা আমি এক যায়গায় লুকিয়ে রেখেছি । আমি তিন দিন সময় চাই, যাতে আমি সেই জিনিস গুলো আমার

একটি শিক্ষামূলক শিশুতোষ গল্প

এক বনে বাস করত একটা হরিণ আর তার বাবু । বাবুটা ছিল অনেক ছোট্ট । সে ছিল খুব চঞ্চল । মাকে ছাড়া কিছু বুঝত না । আর মা সেতো সারাক্ষণ বাবুর চারপাশে থাকত । ধীরে ধীরে মায়ের আদরে বড় হতে লাগল । একদিন মায়ের শরীর খারাপ । বাবু মাকে রেখে একটু দূরে গেল বন্ধুদের সাথে । কিছুক্ষণ পর ফিরে এল । ফিরে এসে বলল ‘’ মা ! ওমা ‘’! মা বলল ,'' কিরে আমার মানিক “’? ''মা আমি বনের রাজাকে দেখব ‘’! এ কথা শুনতে লাফিয়ে উঠল মা ! ভুলে গেল তার শরীর খারাপের কথা । হরিণ কাঁপা কাঁপা গলায় বলল ,''এসব কি বলছিস আমার কলিজা ? আমার সোনা এসব বলে না ,একদম না ‘’! দিন যায় ,মাস যায় ,বছরও । হরিণের বাচ্চা অনেক বড় আর লম্বা হয়ে ঊঠে । কিন্তু সেই কথা ভুলে না । মা এটা বুঝায় সেটা বুঝায় । উহু সে ভুলে না । একদিন বাচ্চা তার মাকে বলল ,’’ মা যদি তুমি বনের রাজাকে দেখতে না নিয়ে যাও । তবে আমি একা একা বনের রাজাকে দেখতে যাব ‘’ । মা অনেক বোঝাল ! কিছুতেই সে বুঝবে না । তারপর মা অনেক কাঁদল ! তারপর ঠিক করল নিয়ে যাবে ওকে । বের হল দুইজন । মা বার বার চেনা জায়গাটার দিকে ফিরে ফিরে দেখে আর কাঁদে । পথে শিয়ালের সাথে দেখা । শিয়াল ওদের দেখে খুব আনন্দ

সকলের জন্য একটি শিক্ষামূলক ছোট গল্প

একজন ফল বিক্রেতা কিছু কলা নিয়ে বাজারে গেল। অতঃপর সে খুব ভালো দামে কলা বিক্রি করতে আরম্ভ করল। অল্প কিছু সময় অতিবাহিত হওয়ার  পর সে দেখল তার কলা বিক্রি হতে হতে সামান্য কিছু মাত্র অবশিষ্ট রয়েছে। কিছুক্ষনের মধ্যে সে তার অবশিষ্ট কলা গুলিও বিক্রি করে দিয়ে বাড়ি চলে গেল। তার কলা অল্প সময়ে বিক্রি হওয়ার পিছনে কারন হচ্ছে সেগুলি ছিল দেখতে সুন্দর এবং মোটা-তাজা । বিক্রেতা বাড়ি গিয়ে ভাবল সে যদি সবকলার খোসা ছাড়া নিয়ে যায় অর্থাৎ কলা থেকে খোসা আলাদা করে বাজারে নিয়ে যায় তাহলেতো আরো ভালো বিক্রি হবে, কারন মানুষের কষ্ট করতে হবেনা। পরদিন সে আরো বেশি সংখ্যক কলা খোসা ছাড়া অবস্থায় বাজারে নিয়ে গেল। কিন্তু তার কলা বিক্রি হচ্ছিলনা। শুধু মাছি মসা ছাড়া তার কলার আশে পাশে কোন ক্রেতা ছিলনা। সে খুব হতবাক হল এবং কষ্ট পেল। অবশেষে সে রাগে ক্ষোভে তার সবগুলি কলা বাজারের ডাস্টবিনে পেলে চলে গেল। গল্পটি শেষ। সেই বিক্রেতা হয়ত এভাবে আর কখনো খোসা আলাদা করে বাজারে কলা বিক্রি করতে আনবেনা। কিন্তু নানাভাবে অপদস্থ হয়েও আমাদের সমাজের মেয়েদের পরিবর্তন হয়না। তারা ঘুণাক্ষরেও বুজতে পারেনা তাদের এতো অমর্যাদা শুধুমাত্র এই বে-পর্দার কারনে। কি

৪ টি শিক্ষামূলক গল্প !!! সবাই পড়ুন!

Image
একটি জরুরী সার্জারির জন্য তাড়াহুড়ো করে এক ডাক্তারকে হাঁসপাতালে ডেকে পাঠানো হল । সে তড়িৎ গতিতে হাসপাতালে পৌঁছে গেলো । হাঁসপাতালে ঢুঁকেই সে নিজেকে দ্রুত প্রস্তুত করে নিল সার্জারির জন্য । এরপর সার্জারির ব্লক এ গিয়ে সে দেখল রোগীর ( একটি ছোট্ট ছেলে ) বাবা ওখানে পায়চারি করছে ডাক্তারের অপেক্ষায় , ডাক্তার কে দেখামাত্র লোকটি চেঁচিয়ে উঠল- আপনার আসতে এত দেরি লাগে? দায়িত্ববোধ বলতে কিছু আছে আপনার? আপনি জানেন আমার ছেলে এখানে কতটা শোচনীয় অবস্থায় আছে ???? ডাক্তার ছোট্ট একটা মুচকি হাঁসি হেঁসে বলল- ” আমি দুঃখিত, আমি হাসপাতালে ছিলাম না, বাসা থেকে তাড়াহুড়ো করে এলাম, তাই খানিক দেরি হল, এখন আপনি যদি একটু শান্ত হন, তবে আমি আমার কাজটা শুরু করি? লোকটি এবার যেন আরও রেগে গেলো, ঝাঁঝাঁলো স্বরে বলল- ” ঠাণ্ডা হব? আপনার সন্তান যদি আজ এখানে থাকতো? আপনার সন্তান যদি জীবন মৃত্যুর মাঝে দাঁড়িয়া থাকতো, তাহলে আপনি কি করতেন? শান্ত হয়ে বসে থাকতেন?? ডাক্তার আবার হাঁসলেন আর বললেন ” আমি বলব পবিত্র গ্রন্থে বলা হয়েছে মাটি থেকেই আমাদের সৃষ্টি আর মাটিতেই আমরা মিশে যাব! ডাক্তার কাউকে দীর্ঘ জীবন দিতে পারেন না। আপনি আপনার সন্ত

আবু বকর সিদ্দীক (রা) এর একটি ঘটনা এবং আমাদের জন্যে শিক্ষা

বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম আলহামদুলিল্লাহ, ওয়াস্সালাতু ওয়স্সালামু আলা নাবিয়্যিনা মুহম্মাদ ﷺ। আবু বকর সিদ্দীক (রা) এর এই ঘটনাটি মোটামুটি আমরা সবাই জানি, কিন্তু ঘটনাটির মাঝে একটি গুরত্বপূর্ণ শিক্ষণীয় বিষয় রয়েছে যা আমাদের অনেকেরই নজর এড়িয়ে গেছে। ইনশাল্লাহ, সেই বিষয়েই এখানে আলোকপাত করব। আহমদ ইবনে হাম্বল রহিমাহুল্লাহ কর্তৃক বর্ণিত, জাবির বিন আব্দুল্লাহ (রা) এই হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। রাসূল ﷺ মিরাজ থেকে ফিরে এসেছেন। সকালবেলা তিনি যখন মক্কার কুরাইশদের মিরাজের ঘটনাটি বললেন তখন কুফ্ফার সম্প্রদায় হাসি-তামাশায় লিপ্ত হয়েছিল। মক্কার এই কুরাইশ সম্প্রদায়ের কুফ্ফারগণ ছিলেন অনেকটা বস্তুবাদি। যা দেখা, যায় ধরা যায়, ছোয়া যায় শুধু তাই তারা আমলে নিত। রাসূল ﷺ এর মিরাজের ঘটনাটিকে তারা একটা হাতিয়ার হিসেবে ধরে নিল আর এর মাধ্যমে মিরাজের ঘটনাটিকে মিথ্যা প্রমাণ করতে চাইল। কুফ্ফার সম্প্রদায়ের কিছু লোক আবু বকর সিদ্দীক (রা) এর নিকট গেলেন। তিনি বাণিজ্য থেকে কিছুক্ষণ আগে ফিরে এসেছেন, তাই তখনও রাসূল ﷺ এর সাথে দেখা করতে পারেননি। কুফ্ফার সম্প্রদায় তাকে বলল,  শুনেছ কি তোমার সঙ্গী কি সব বলা শুর

ন্যায়বিচার ও ইসলামী ভ্রাতৃত্ব : একটি অসাধারণ কাহিনী

উমর রাদিআল্লাহু তাআলা আনহুর শাসন আমল, একদিন ২ জন লোক এক বালককে টেনে ধরে নিয়ে আসল তাঁর দরবারে । উমর রাঃ তাদের কাছে জানতে চাইলেন যে, ‘ব্যাপার কি, কেন তোমরা একে এভাবে টেনে এনেছ ?’ তারা বলল ’এই বালক আমাদের পিতাকে হত্যা করেছে ।’ উমর রাঃ বালকটিকে বললেন ‘তুমি কি সত্যিই তাদের পিতাকে হত্যা করেছ ?’ বালকটি বলল’ হ্যা আমি হত্যা করেছি তবে তা ছিল দূর্ঘটনাবশত, আমার উট তাদের বাগানে ঢুকে পড়েছিল তা দেখে তাদের পিতা একটি পাথর ছুড়ে মারল,যা উটের চোখে লাগে । আমি দেখতে পাই যে উটটি খুবই কষ্ট পাচ্ছিল । যা দেখে আমি রাগান্বিত হই এবং একটি পাথর নিয়ে তার দিকে মারি, পাথরটি তার মাথায় লাগে এবং সে মারা যায় ।’ উমর (রাঃ) ২ভাইকে বলেলন ‘তোমরা কি এ বালককে ক্ষমা করবে ?’ তারা বলল ‘না, আমরা তার মৃত্যূদন্ড চাই ।’ উমর রাঃ বালকটির কাছে জানতে চাইলেন ‘তোমার কি কোন শেষ ইচ্ছা আছে? বালকটি বলল ‘আমার আব্বা মারা যাওয়ার সময় আমার ছোট ভাইয়ের জন্য কিছু সম্পদ রেখে যান, যা আমি এক যায়গায় লুকিয়ে রেখেছি । আমি তিন দিন সময় চাই, যা আমি সেই জিনিস গুলো আমার ভাইকে দিয়ে আসতে পারি । আমার কথা বিশ্বাস করুন ।’ উমর রাঃ বললেন ‘আমি তোমাকে

বৈধ উসিলা গ্রহন ঃ

আব্দুল্লাহ বিন উমর রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সা.-কে বলতে শুনেছি, ‘তোমাদের পূর্বের যুগে তিন ব্যক্তির একটি দল কোথাও যাত্রা করেছিল, যাত্রাপথে রাত যাপনের জন্য একটি গুহাতে তারা আগমন করে এবং তাতে প্রবেশ করে। অকস্মাৎ পাহাড় থেকে একটি পাথর খসে পড়ে এবং বন্ধ করে দেয় তাদের উপর গুহামুখ। এমন অসহায় অবস্থায় তারা বলাবলি করছিল, তোমাদেরকে এ পাথর হতে মুক্ত করতে পারে এমন কিছুই হয়ত নেই। তবে যদি তোমরা নিজ নিজ নেক আমলের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার নিকট দোয়া কর তবে নাজাত পেতে পার। তাদের একজন বলল : হে আল্লাহ ! আমার বয়োবৃদ্ধ পিতা-মাতা ছিলেন, আমি তাদেরকে দেওয়ার পূর্বে আমার পরিবারের অন্যান্য সদস্য স্ত্রী-সন্তান ও গোলাম-পরিচারকদের কাউকে রাতের খাবার দুগ্ধ্তপেশ করতাম না। একদিনের ঘটনা : ঘাসাচ্ছাদিত চারণভূমির অনুসন্ধানে বের হয়ে বহু দূরে চলে গেলাম। আমার ফেরার পূর্বেই তারা ঘুমিয়ে পরেছিলেন। আমি তাদের জন্য রাতের খাবার দুগ্ধ দোহন করলাম। কিন্তু দেখতে পেলাম তারা ঘুমাচ্ছেন। তাদের আগে পরিবারের কাউকে- স্ত্রী-সন্তান বা মালিকানাধীন গোলাম-পরিচারকদের দুধ দেয়াকে অপছন্দ করলাম। আমি পেয়ালা হাতে তাদের জাগ্রত হ