Posts

Showing posts from 2016
Image
ইমাম গাজ্জালীর অন্যতম একটা গল্প ইমাম গাজ্জালী একবার একটা গল্প বলেছিলেন। এক ব্যক্তি জঙ্গলে হাঁটছিলেন। হঠাৎ দেখলেন এক সিংহ তার পিছু নিয়েছে। তিনি প্রাণভয়ে দৌড়াতে লাগলেন। কিছুদূর গিয়ে একটি পানিহীন কুয়া দেখতে পেলেন। তিনি চোখ বন্ধ করে দিলেন ঝাঁপ। পড়তে পড়তে তিনি একটি ঝুলন্ত দড়ি দেখে তা খপ করে ধরে ফেললেন এবং ঐ অবস্থায় ঝুলে রইলেন। উপরে চেয়ে দেখলেন কুয়ার মুখে সিংহটি তাকে খাওয়ার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে। নিচে চেয়ে দেখলেন বিশাল এক সাপ তার নিচে নামার অপেক্ষায় চেয়ে আছে। বিপদের উপর আরো বিপদ হিসেবে দেখতে পেলেন একটি সাদা আর একটি কালো ইঁদুর তার দড়িটি কামড়ে ছিড়ে ফেলতে চাইছে। এমন হিমশিম অবস্থায় কি করবেন যখন তিনি বুঝতে পারছিলেন না, তখন হঠাৎ তার সামনে কুয়ার সাথে লাগোয়া গাছে একটা মৌচাক দেখতে পেলেন। তিনি কি মনে করে সেই মৌচাকের মধুতে আঙ্গুল ডুবিয়ে তা চেটে দেখলেন। সেই মধুর মিষ্টতা এতই বেশি ছিল যে তিনি কিছু মুহূর্তের জন্য উপরের গর্জনরত সিংহ, নিচের হাঁ করে থাকা সাপ, আর দড়ি কাঁটা ইঁদুরদের কথা ভূলে গেলেন। ফলে তার বিপদ অবিশ্যম্ভাবী হয়ে দাঁড়ালো। ইমাম গাজ্জালী এই গল্পের ব্যাখ্যা দিতে গিয

অনুপ্রেরণা

সফলতা হচ্ছে- কনসিসটেন্সি (ধারাবাহিকতা)। এটা হল চেষ্টার ধারাবাহিকতা। লেগে থাকার ধারাবাহিকতা। / যে সাবজেক্টটা কঠিন বলে, তুমি ফেল করেছ। সেই একই সাবজেক্টে, তোমার ক্লাসের অর্ধেকের বেশি ছেলে মেয়ে ৬০ এর উপরে মার্কস পেয়েছে। যে বৃষ্টির কারণে, যে ঠাণ্ডার ভয়ে তুমি ঘর থেকে বের হওনি। সেই একই বৃষ্টিতে ভিজে, একই ঠাণ্ডায় কেঁপে কেঁপে, রিক্সাওয়ালারা ঠিকই সংসার চালানোর টাকা কামিয়ে ঘরে ফিরেছে। , কষ্ট,দারিদ্র্যতার দোহাই দিয়ে নিজের বড় হবার স্বপ্নটা মাটি চাপা দিয়ে রেখেছো।তোমার পাশেই একজন কঠিন পরিশ্রম আর কঠোর চেষ্টা ও শ্রম দিয়ে তার স্বপ্নের পথে ঠিকই এগিয়ে গেছে। সো, সমস্যাটা দারিদ্রতা, শীতের ঠাণ্ডা কিংবা সাবজেক্ট কঠিন হওয়ার মধ্যে না। সমস্যাটা তোমার মধ্যে। তবে সে সমস্যাটা তোমার স্বপ্ন, সাহস, চেষ্টার কমতি বা সময়ের অভাবের মধ্যে না। কেউ যুদ্ধ জয় করে না, একজন একজন করে শত্রু পক্ষের সৈন্যকে পরাজিত করে। কেউ সাগর পাড়ি দেয় না, বৈঠা মেরে মেরে, ইঞ্চি ইঞ্চি করে সামনে এগুতে থাকে। কেউ বিশ্ব সেরা খেলোয়াড় হয় না, একটার পর একটা ম্যাচে, দুই-একটা করে গোল করতে থাকে। . সফলতা কোন লটারি না। জন্মদিনে প্রেমিকার উপহারও

হোমিও চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক ডা. হ্যানিম্যান ও তার ইসলাম গ্রহ

ডা. এস.এম. আব্দুল আজিজ ‘আমি বৃথা জীবন ধারণ করিনি, সমস্ত কিছুই প্রমাণ করব, যা ভাল তা শক্ত করে ধরব’। বিশিষ্ট গবেষক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যান অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা শাস্ত্রে লেখাপড়া করে ডাক্তার হন এবং অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতি অনুযায়ী রোগীদের সেবা প্রদান করতেন। চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি তিনি গবেষণা ও চিকিৎসা বিষয়ক বইয়ের অনুবাদ করেছেন। গবেষণার এক পর্যায়ে তিনি অ্যালোপ্যাথিতে ক্ষতিকর সাইড অ্যাফেক্ট (পার্শপ্রতিক্রিয়া) দেখতে পান। এতে তিনি অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতি পরিত্যাগ করেন। সাইড অ্যাফেক্টের কারণ নির্ণয়ের গবেষণার মাধ্যমে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা সূত্র আবিষ্কৃত হয়। পেরুভিয়ান কপি বা সিঙ্কোনা গাছের বাকল নিয়ে গবেষণা করতে করতে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার উদ্ভব হয়। সুস্থ মানবদেহে ওষুধ প্রয়োগ করে ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যান ওষুধের গুণাবলী পরীক্ষা করতেন। এ ধরনের গুণাবলী যখন কোন অসুস্থ ব্যক্তির মধ্যে দেখা যেত তখন তিনি তা প্রয়োগ করলে রোগটি সেরে যেত। এটাকে বলে সদৃশ বিধান বা হোমিওপ্যাথি। এভাবেই প্রাকৃতিক নিয়মে ওষুধ পরীক্ষা, পর্যবেক্ষণ ও প্রয়োগ করার চিকিৎসা বিধান প্রতিষ্ঠা

সফল উদ্যোক্তা হওয়ার মূলমন্ত্র

কেন আপনি নিজস্ব ব্যবসা শুরু করতে পারছেন না ? হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক Howard H. Stevenson এর থেকে জেনে নিন কেন ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও আপনি নিজস্ব ব্যবসা শুরু করতে পারছেন না ? Howard H. Stevenson হচ্ছেন আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের Sarofim-Rock Baker Foundation Professor, Senior Associate Dean এবং Harvard Business Publishing Company board এর চেয়ারম্যান। তিনি ১৯৯১ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের Senior Associate Dean এবং Director হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৯ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত Latin American Faculty Advisory Group এর চেয়ারম্যান হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন। তাছাড়া ২০০৫ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত Harvard University Resources and Planning এর Vice Provost এবং Senior Associate Provost হিসেবে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৩ সালে রচিত “A Perspective on Entrepreneurship” আর্টিকেলে তিনি ব্যবসায় উদ্যোগ বিষয়ে গভীর এবং গুরুত্বপূর্ণ কিছু ধারণা তুলে ধরেছেন। এই আর্টিকেলটি শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উভয়ের কাছেই সারা বিশ্বে আজও খুব সমাদৃত। উদ্যোক্তার স

শূন্য হাতে শুরু। উদ্যোক্তা হতে হলে পুঁজি লাগে না

Image
আর্টিকেলটা পড়ে ভাল লাগল তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম – “”শূন্য হাতে শুরু। উদ্যোক্তা হতে হলে পুঁজি লাগে না”” ———————————————————– উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা বললে, বেশির ভাগের কাছ থেকে উত্তর পাওয়া যায়, ‘একেবারে শূন্য হাতে শুরু। উদ্যোক্তা হতে হলে পুঁজি লাগে না, আইডিয়াই সব।’ কিন্তু এর সঙ্গে দ্বিমত করলেন মাহমুদুল হাসান সোহাগ। বললেন, অবশ্যই পুঁজি লাগে। আমি শুরু করেছি ৫ হাজার কোটি টাকা নিয়ে! শুনে ধাক্কা লাগে। তবে ব্যাখ্যা শুনে আবার স্বস্তি পাই। “এই টাকা ছিল আমার মস্তিষ্কে। কারণ, নিউরোসাইন্টিস্টদের ভাষ্য মতে, একটি কম্পিউটারের বিপরীতে একজন মানুষের মস্তিষ্কের দাম কমপক্ষে ৫ হাজার কোটি টাকার সমান। এই টাকা মাথায় রেখে নগদ ৬ হাজার টাকা নিয়ে আমার উদ্যোক্তা হওয়ার পথে যাত্রা শুরু”। তিনি মনে করেন, প্রতিটি মানুষই ৫ হাজার কোটি টাকার অধিকারী। কেবল এর ব্যবহার জানতে হবে। মাহমুদুল হাসান সোহাগ একজন তড়িৎ প্রকৌশলী (ইইই, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়-বুয়েট)। বর্তমানে তিনি “অন্যরকম” গ্রুপের চেয়ারম্যান। ভিন্ন ধারার শিক্ষার্থী তৈরির জন্য তিনি গড়ে তুলেছেন একাডেমিক কেয়ার উদ্ভাস, ঘরে ঘরে বই পৌ

আপনিও পারেন

Image
শান্ত সবুজ এক ছোট্ট গ্রাম। মাঠভরা ফসল, গোয়ালভরা গরু আর উঠোন ভরা হাঁস-মুরগি নিয়ে সচ্ছল গ্রামের প্রতিটি ঘর। এ গ্রামেরই এক গৃহস্থের বাড়িতে একবার এক মুরগি তা দিয়ে ফুটালো অনেকগুলো ছানা। কিন্তু একি! মুরগিছানাদের সঙ্গে ডিম ফুটে বেরুনো ঐ কিম্ভুতকিমাকার ছানাটি কেন? দেখতে হাঁসের মতো। কিন্তু কী কুশ্রী আর কদাকার! কী করে এলো এখানে? কেনই বা সে অন্যদের চেয়ে আলাদা? গৃহস্থ বাড়ির একচিলতে উঠোনে জীবন শুরু হলো তার। কেউ তাকে ভালবাসে না। সুযোগ পেলেই ছোট ছেলেমেয়েরা খোঁচায়, মুরগিছানারা তাড়া করে, কাক ভয় দেখায়। খাবার তার আবর্জনা আর গৃহস্থের ফেলে দেয়া ঝুটাকাঁটা, তা-ও বাকিরা খেয়ে যাবার পর যা পাওয়া যায়। একমাত্র আপন তার মা- মা মুরগি। সব ঝড়ঝাপটার মধ্যেও এই মায়ের কাছেই খুঁজে পায় একটু আশ্রয়। এভাবেই চলছিলো জীবন। আস্তে আস্তে বড় হয়ে উঠছে সে। মাঝে মাঝে সে অনুভব করতো জোরে দৌড়াতে গিয়ে সে যেন খানিকটা ভেসেও যেতে পারে। কিন্তু এ নিয়ে আর কোনো মাথা ঘামায় নি সে। একদিনের কথা। কোনো কারণে সব মুরগিছানারা মিলে তাড়া করলো তাকে। প্রাণপণে ছুটতে ছুটতে গ্রামের একেবারে শেষ প্রান্তে এক হ্রদের ধারে গিয়ে থমকে গেল সে। এখন কী করবে সে? আর একটু

সুস্থতার পথে

একজন মানুষ ৭৫ ভাগ রোগ থেকে মুক্ত হতে পারে কোনো ওষুধ ছাড়াই। কারণ এ রোগগুলো হলো মনোদৈহিক। দেহের রোগ ওষুধে ভালো হতে পারে। কিন্তু মনোদৈহিক রোগ নিরাময়ে ওষুধের কোনো প্রয়োজন নেই। মনের জট খুলে গেলে এ রোগগুলো এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। কোয়ান্টাম মেথডে হাজার হাজার মানুষের তাৎক্ষণিক নিরাময়ের রহস্য এখানেই। কোর্সে এসে বসে আলোচনা শুনতে শুনতে আর মেডিটেশন করতে করতেই মনের জট খুলে গেছে। বহু বছরের রোগ-যন্ত্রণা থেকে মুক্ত হয়ে সুস্থ দেহ আর প্রশান্ত মন নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন তারা। কোয়ান্টাম নিরাময় আমরা কেন রোগাক্রান্ত হই? চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে, শতকরা ৭৫ ভাগ রোগের কারণই মনোদৈহিক। অর্থাৎ রোগের লক্ষণ দেহে প্রকাশ পেলেও এর উৎস হচ্ছে মন। আর বাকি ২৫ ভাগ রোগের কারণ জীবাণু সংক্রমণ, ভুল খাদ্য গ্রহণ, ব্যায়াম না করা এবং দৈহিক আঘাত, ওষুধ ও অপারেশনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। প্রশ্ন হতে পারে মনের কারণে কীভাবে দেহের রোগ হয়?  আসলে মন যখন ভাবাবেগজনিত চাপ বা উৎকণ্ঠার সম্মুখীন হয় তখন শরীর নানাভাবে প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে। রক্তে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক উপাদান নিঃসরণের পাশাপাশি হৃৎকম্পন বেড়ে যায়, রক্

বিসর্জন

Image
আমাদের মালিবাগের বাসায় বছরে উৎসব ছিল তিনটা। আমাদের দুই ঈদ আর কাকুদের দুর্গাপূজা। ছোটকাকু ছিলেন আমাদের পাঁচ ভাইবোনের সমস্ত আবদারের উৎস। সবাই মিলে আব্বার কাছে মার খেতাম আর দোতলায় ছোটকাকুর কাছে আশ্রয় পেতাম। কাকীমা ছিলেন কাকুর চেয়ে বয়সে অনেক ছোট; আমার মার চেয়েও। তাই মাকে মনে পড়ে কাকীমাকে সেলাই শেখাতে, কুমড়ার বড়া বানানো দেখাতে। ঝগড়া করতে দেখি নি কখনও। বরং কাকীমার বিচারে মার কাছে ছোটকাকুর বকা খাওয়ার ঘটনা প্রচুর। আব্বা আর কাকু ছিলেন সহকর্মী। হাউস-বিল্ডিং ফাইন্যান্সের লোন নিয়ে করা আব্বার আর ছোটকাকুর সেই তিনতলার বাসায় ঈদ আর পূজা আসতো বিশাল ধুমধামে। ঈদের আগের রাতে কাকু আমাদের দুই ভাইকে নিয়ে যেতেন চুল কাটাতে। আর কাকীমা বোনদের নিয়ে বসতেন হাতে মেহেদী লাগাতে। ঈদের দিন আব্বার পরে প্রথম কোলাকোলি করতাম কাকুর সাথে। পূজায় আব্বা যেতেন ছোটভাইকে নিয়ে বিসর্জনের মেলায়। সবার ছোট আদরের ভাইটা পূজার দিন বেড়াতে আসা নিজের আত্মীয়দের সাথে থাকতে চাইতো না মোটেও। অবশ্য কে যে ‘নিজের আত্মীয়’, আর কে পর- তা বুঝেছি অনেক পরে। কাকুকে কখনও দেখি নি তার নিজের দুই সন্তানের চেয়ে আমাদের তিন ভাইবোনকে আলাদা করে দেখতে। উৎসব-পার্ব

মধুরেন সমাপয়েত

Image
বাংলাদেশ আসলে তলাবিহীন ঝুড়ি। নিয়মকানুনের বালাই নেই। হরতালের ঠিক-ঠিকানা নেই, রাজনীতিকদের কথার লাগাম নেই। প্রতিশ্রুতির মূল্য নেই। রাস্তায় শত মানুষের সামনে একজনকে কুপিয়ে মেরে ফেললেও তার বিচার নেই। দিনদুপুরে বাসায় ঢুকে শিশুকন্যার সামনে মা-বাবাকে মেরে রেখে গেলেও তার হদিশ নেই। এখানে শেয়ার মার্কেটের জবাবদিহিতা নেই। হাজার হাজার কোটি টাকা অর্থ পাচারের কূলকিনারা নেই। এখানে মানুষের পয়সায় বানানো রাস্তা-সেতু ভিত্তি প্রস্তরের পর আলোর মুখ দেখে না প্রজন্মের পর প্রজন্ম। এখানে রাস্তায় পানি জমে-সেই মফস্বলের গলিঘুপচি থেকে শুরু করে আমেরিকান এম্বেসির সামনে পর্যন্ত। এখানে ইলেক্ট্রিসিটির নামগন্ধ নেই আর পানিতে দুর্গন্ধের অভাব নেই। সারি সারি বিল্ডিংয়ের পেছনে পরিকল্পনা নেই। চাঁদাবাজ বা অপহরণের শাস্তি নেই। জমি দখল, এসিড সন্ত্রাস বা যৌতুকে নিঃস্বের আইনি আশ্রয় নেই। যখন তখন যেখানে সেখানে যানজটের কোনো ব্যাখ্যা নেই। ছুটিতে কোথাও গেলে নিরাপত্তা নেই; পর্যটনকেন্দ্র্রে এতটুকু হাত-মুখ ধোয়ার ব্যবস্থা নেই। এমনি হাজারো না থাকার দোষে অনেকেই চলে যেতে চায় বস্তাপচা এই দেশ ছেড়ে। দোষারোপ করে কখনো চায়ের টেবিলে, কখনো টিভির স

আগে দর্শনধারী, তারপরে গুণবিচারি

Image
কথাটা সবক্ষেত্রে সঠিক না। দর্শনের মূল্য মুহূর্তে, কিন্তু গুনের কদর সারাজীবন। নিজের বিয়ের অনুষ্ঠানে খেতে বসেছি। গরমে পাগড়ি নেই মাথায়, এদিকে সবাই স্যুট পরা। শ্বশুরপক্ষের এক আত্মীয়া জোরে জোরে জিজ্ঞেস করছেন ‘পাত্র কেডা?’ আমার খালা-শ্বাশুড়ি উত্তর দিলেন ‘ঐযে মাঝের কালো পোলাডা’! এই শুনে আস্ত খাসি আর গলা দিয়ে নামেনি। পরে বউ শুনে তো হেসেই খুন। বললো,‘কেউ কালো-মোটা বললে কী আসে যায়! আমি তো আর বলিনি’। আমি চেঁচিয়ে উঠলাম, ‘মোটা তো কেউ বলেনি!’ তার মানে কী! ‘আর কী কী আমাকে বিয়ের প্রথম দিন শুনতে হবে!’ তবে আসল কথা হলো বউ তো আর বলেনি, অন্যের কাছে কালা হলেই কী, আর ধলা হলেই কী! চেহারা নিয়ে এ্‌ই কটাক্ষ আসলে ভালো না। সেটা মানুষকে নিয়েই হোক, আর গরুকে নিয়েই হোক। আমার মনে আছে আমার চাচা গরু নিয়ে হাঁটতেন আর সবাইকে বলতেন, চামড়াটা দেখেছ? আমার মাথার টাকের চেয়েও তেলতেলে! গরু এতে খুশি হত কিনা বোঝা যায়নি, কিন্তু অন্য গরুর মালিকের অখুশিটা বেজায় স্পষ্ট দেখা যেত। আর স্লিম গরু নিয়ে হাটতে গেলে সবাই জানতে চায় ‘খাসি কত দিয়ে নিলেন?’ এতে কী আত্মতৃপ্তি বুঝিনা। কিন্তু আরেকজনকে নিচু দেখিয়ে বা নিচু ভাবিয়ে কি নিজের দানটা রক্ষা হ

কুম্ভযুগ

Image
২০১২ সালের ২১ ডিসেম্বর ছিল Mayan Calender এর শেষদিন। এদিন পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে বলে অনেক কথাবার্তা হয়েছে। সত্যি যে হয় নি তাতো বোঝাই যাচ্ছে। কিন্তু আসলে ব্যাপারটা কী? মায়ানরা আসলে কী বোঝাতে চেয়েছেন? ২০১২ নিয়ে এত হইচই- ই বা কেন? ২১ ডিসেম্বর সারাদিনই রেডিও-টেলিভিশনে নানা ধরনের অনুষ্ঠান হয়েছে। বিবিসির একটা অনুষ্ঠান ছিল সরাসরি মেক্সিকো থেকে। মায়া সভ্যতার বংশধর বলে যে মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ এখনো আছেন তাদেরই কয়েকজনের সাক্ষাতকার। তারা বলছিলেন, মায়ান ক্যালেন্ডারে পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার কোনো কথা বলা হয় নি। বরং মায়ান জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের করা ৫১২৫ বছরব্যাপী প্রাচীন মেসোআমেরিকান লং কাউন্ট ক্যালেন্ডারের শেষ দিনটি হলো ২০১২ সালের ২১ ডিসেম্বর। তারা যা বলে গেছেন তাহলো এরপর শুরু হবে নতুন যুগ, নতুন ক্যালেন্ডার। এদিকে এস্ট্রোলজি মতে আমাদের সূর্য তার গ্রহ-উপগ্রহগুলো নিয়ে পরিক্রমণ করছে আরো এক মহাসূর্যকে। প্রায় ২১৫০ বছর পর পর সম্পন্ন হয় এই পরিক্রমণের এক একটি কাল যাকে বলা হয় Astrological Age. মজার ব্যাপার হলো, মায়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী যেমন আগমন ঘটেছে নতুন পঞ্চম সহস্রাব্দের, তেমনি ২০১২