বিরুদ্ধে রায় পেয়ে খলীফা পুরস্কৃত করলেন কাজীকে

ইসলামী সাম্রাজ্যের অত্যন্ত শক্তিমান ও প্রতাপশালী খলীফা আল-মানসুর।
ঐতিহাসিকরা একবাক্যে তাঁকে নিষ্ঠুরতার প্রতিমূর্তি হিসেবে অভিহিত করেছেন।
এ সত্ত্বেও সংযম ও নীতি নিষ্ঠতার জন্যে তিনি ইতিহাসে স্থান রেখে গেছেন।
৭৭৫ খ্রিস্টাব্দের কথা।
খলীফা আল-মানসুর রাজধানী বাগদাদ থেকে মদিনায় এলেন।
মুহাম্মাদ বিন ইমরান তখন মদিনার কাজী।
কাজী সেদিন তাঁর বিচারাসনে আসীন ছিলেন।
এমন সময় একজন উট চালক আদালতে এসে খলীফার বিরুদ্ধে একটি সুস্পষ্ট অভিযোগ উত্থাপন করে সুবিচার প্রার্থনা করল।
অভিযোগ শুনেই কাজী মুহাম্মাদ বিন ইমরান তাঁর সহকারীকে খলীফার নামে কোর্টে হাজির হবার জন্যে লিখিত সমন পাঠাবার নির্দেশ দিলেন।
তাঁর সহকারী এই আদেশের ব্যাপারে একটু নরম হবার জন্যে অনুরোধ করলেন। কিন্তু কাজী রাজি হলেন না।
অবশেষে তাঁর সহকারী লিখিত সমন পাঠালেন খলীফার কাছে।
খলীফা আল-মানসুর কাজীর সমন পেলেন।
সমন পড়ে সভাসদদের বললেন, ‘কাজীর আদালত থেকে সমন পেয়েছি। আমি সেখানে যাচ্ছি, কেউ আমার সাথে যাবে না।
এটা আমার ইচ্ছা।’
যথা সময়ে খলীফা কাজীর আদালতে হাজির হলেন। কাজী তাঁর আসন থেকে উঠলেন না।
খলীফার প্রতি কোন ভ্রূক্ষেপ না করেই তিনি তাঁর কাজ করে যেতে লাগলেন।
খলীফার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিচার শুরু হলো। কাজীর বিচারে খলীফার বিরুদ্ধে রায় গেল।

যখন বিচারের রায় ঘোষণা করা হলো, খলীফা আনন্দে চিৎকার করে উঠলেন এবং কাজীকে উদ্দেশ্য
করে বললেন, ‘এই রায়ের জন্য আল্লাহ আপনাকে বিরাট পুরস্কারে পুরস্কৃত করুন।
আর আমি আপনার জন্য ১০ হাজার দিরহাম পুরস্কার ঘোষণা করছি।’

Comments

Popular posts from this blog

**একটা উপদেশ মূলক গল্প**

"একটি শিক্ষা মুলক গল্প"

উপদেশ মূলক ছোট গল্প